শেখ মুজিবুর রহমান, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং জাতির পিতা হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিত, 1975 সালের 15 আগস্ট একটি তার জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে। একটি সামরিক অভ্যুত্থানে একদল মুক্তিযোদ্ধা সেনা কর্মকর্তার দ্বারা তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নিহত হয়।
শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা যিনি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, একটি রাজনৈতিক দল যেটি বাঙালি জাতীয়তাবাদের কারণ এবং পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করেছিল। তিনি পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে একটি অহিংস আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন, কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা নৃশংস শক্তির সাথে প্রতিক্রিয়া জানায়, যার ফলে 1971 সালে একটি রক্তক্ষয়ী নয় মাসের যুদ্ধ হয়। ভারতীয় সৈন্যদের সহায়তায়, বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে, এবং শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রথম রাষ্ট্রপতি হন।
তার জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও, শেখ মুজিবের শাসন অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার পাশাপাশি দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার সরকার তার কর্তৃত্ববাদী শৈলী এবং দেশের মুখোমুখি হওয়া গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলি সমাধানে ব্যর্থতার জন্য সমালোচিত হয়েছিল। উপরন্তু, আজীবন রাষ্ট্রপতি হিসাবে নিজেকে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত এবং একদলীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা তার গণতান্ত্রিক পরিচয়পত্রকে আরও ক্ষয় করে এবং জনসংখ্যার বিশাল অংশকে বিচ্ছিন্ন করে।
যে অভ্যুত্থান শেখ মুজিবের মৃত্যুর দিকে পরিচালিত করেছিল তা একদল সেনা অফিসার দ্বারা সংগঠিত হয়েছিল যারা তার নেতৃত্ব এবং দেশের নির্দেশনায় অসন্তুষ্ট ছিল। অভ্যুত্থানকারী নেতারা, যারা নিজেদেরকে “জাতীয় রক্ষী বাহিনী” বা জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী বলে, রাষ্ট্রপতির বাসভবনে হামলা চালিয়ে শেখ মুজিব, তার স্ত্রী, তিন পুত্র, দুই পুত্রবধূ এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হত্যা করে। সে সময় জার্মানি সফররত শেখ মুজিবের কন্যা শেখ হাসিনাই রক্তস্নাত থেকে রক্ষা পান।
শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও সহিংসতার সময়ের মধ্যে নিমজ্জিত করে। অভ্যুত্থানের নেতারা খন্দকার মোশতাক আহমদের নেতৃত্বে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করেন, যারা শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। যাইহোক, তার সরকার স্বল্পস্থায়ী ছিল এবং বাংলাদেশ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সামরিক শাসনের সময়কালের মধ্যে অবতরণ করে।
শেখ মুজিবের উত্তরাধিকার বাংলাদেশে একটি বিতর্কিত এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিষয়। কেউ কেউ তাকে একজন দূরদর্শী নেতা হিসেবে দেখেন যিনি বাঙালির অধিকারের জন্য লড়াই করেছেন এবং স্বাধীনতার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন। অন্যরা মানবাধিকারের বিষয়ে তার রেকর্ড, তার কর্তৃত্ববাদী শাসনের শৈলী এবং তার অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে, যা তারা যুক্তি দেয় যে তারা দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশার জন্য অবদান রেখেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শেখ মুজিবের জীবন ও উত্তরাধিকারের প্রতি নতুন করে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। তার কন্যা শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং তার পিতার স্মৃতি ও উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাতে পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি 15 আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসাবে ঘোষণা করেছেন এবং তার জীবন ও কৃতিত্বকে স্মরণ করার জন্য তার পিতার হত্যার স্থানে একটি যাদুঘর প্রতিষ্ঠা করেছেন।
উপসংহারে বলা যায়, শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড ছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা যা বাংলাদেশের জন্য সুদূরপ্রসারী পরিণতি বয়ে আনে। এটি দেশকে একজন স্বপ্নদর্শী নেতা থেকে বঞ্চিত করেছিল যিনি স্বাধীনতার সংগ্রামে মূল ভূমিকা পালন করেছিলেন এবং একটি রাজনৈতিক শূন্যতা রেখেছিলেন যা সামরিক শাসকদের দ্বারা পূরণ হয়েছিল। যাইহোক, তার উত্তরাধিকার বাংলাদেশে রাজনৈতিক বক্তৃতাকে অনুপ্রাণিত করে এবং গঠন করে, এবং তার ধারণা এবং দৃষ্টিভঙ্গি আজও প্রাসঙ্গিক।
জবাই করা মুরগি দেখসস কোন সময় কেমনে লাফায়। তোর অবস্থা ঠিক তেমনই হবে।
তোরে যেদিন পামু পারাইয়া মারমু আগে দেশে আয়।
কুত্তার মত মারমু তোরে । দেশে কবে আসবি ? আমরা প্রস্তুত।
ওই নডির পোলা তোরে খুন করার জন্য বসে আছি । দেশে আস্লেই তুই শেষ।
হাত চুল্কাইতেসে কবে যে তোরে মারমু আর সহ্য হয় না।
চুতমারানির পোলা দেশে আসার সাহস দেখাবি না । যদি দেখি তাইলে তোর মরন।
শালা তোর বনেরে চুদি তোর মায়েরেও চুদি ।খাকিরপোলা দেশে আইবি না আর?
মাদারি চুতমারানি বিদেশে পালাইয়া কয়দিন বাচবা ? হাউওা দিয়া দিমু।
Ignore these nonsense people and keep writing with dignity.
মাদারচদ তোঁর বাসা চিনি ভইরা দিমু এক্কেবারে
তরে আর BNP এর নাম মিটাইয়া দিমু।
আওয়ামিলিগ এর বিরধিতা করস?সাহস তো কম না গায়েব কইরা দিমু
আওমিলিগ এর পাওয়ার জানস না তো তাই লাফাইতাসস। সময় থাকতে চুপ হয়ে জা।
স্বাধীন ভাবে কোথা না বলতে পারার যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছি। আপনাদের দেখে উৎসাহ পাই কিন্তু পরক্ষনেই ভয়ে কুঁকড়ে যাই।